শাহজালাল মোল্লা নগরকান্দা প্রতিনিধি:ফরিদপুরের নগরকান্দায় বিয়েতে দাওয়াত না পেয়ে এক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে পিটিয়েছে সাবেক এক ইউপি চেয়ারম্যান।

অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের নাম আরিফুর রহমান পথিক তালুকদার। তিনি উপজেলার চরযোশরদি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান।
ঘটনাটি (১৩ মে) শুক্রবার দিবাগত রাত ১০ টার দিকে ইউনিয়নের দহিসারা গ্রামে ঘটে।

জানাযায়, দহিসারা গ্রামের শারিরিক প্রতিবন্ধী আতিয়ার শেখের ছেলে সোহাগ শেখের বিবাহের অনুষ্ঠান চলছিলো। উক্ত অনুষ্ঠানে দাওয়াত না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয় ঐ ইউপি চেয়ারম্যান।
এক পর্যায়ে তার সমর্থকদের সাথে নিয়ে ঐদিন রাতে বিয়ে বাড়িতে হামলা চালায় ও বাড়ির সামনে বেড়া দিয়ে নববধূ সহ আগত আত্মীয় স্বজনের অবরুদ্ধ করে রাখে।

এ হামলায় স্থানীয় ফিরোজ তালুকদার ওরফে হিরু (৮০) নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধা আহত হয়। আহত মুক্তিযোদ্ধা দহিসারা গ্রামের মৃত মমিনুদ্দিন তালুকদারের ছেলে।

এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধার ছেলে আমিনুল ইসলাম বাদি হয়ে, চেয়ারম্যান পথিক তালুকদার ও তার আপন ভাই পলাশ তালুকদার, তারেক তালুকদার সহ ১০ জনকে অভিযুক্ত করে নগরকান্দা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছে।

প্রতিবন্ধী আতিয়ার শেখ বলেন, আমি গরিব মানুষ আমার ছেলের বিয়েতে বড় কোনো অনুষ্ঠান করেতে পারিনি। তাই আমার নিজস্ব লোকজনদের দাওয়াত করে অনুষ্ঠানের আয়োজন করি। অনুষ্ঠানে দাওয়াত না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যান আমার ছেলের বিয়েতে বাধা দিয়ে হামলা চালায় ও আমার বাড়ির সামনে বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখে।

আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিয়ার রহমান জানান, চেয়ারম্যান বিয়েতে দাওয়াত না পেয়ে নিজে তার দলবল নিয়ে এসে আমার উপর হামলা চালিয়েছে। আমি এমনিতেই অসুস্থ একজন মানুষ।

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান পথিক তালুকদার বলেন, আতিয়ার শেখ তার ছেলের বিয়েতে মুক্তিযোদ্ধার কথা অনুযায়ী বেছে বেছে দাওয়াত দিয়েছে। এমনকি তার দলের মাতুব্বরদের ও দাওয়াত দেয়নি। আর মুক্তিযোদ্ধাকে মারধরের বিষয়টি সম্পুর্ন বানোয়াট। আমাকে ফাঁসানোর জন্যই তারা এমন নাটক সাজিয়েছে।

নগরকান্দা থানার ওসি হাবিল হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত পুর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।